
মো. তুহিন ফয়েজঃ চিকিৎসা নিতে আসা ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী রোগী যৌন হয়রানির স্বীকার হয়েছেন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ঘটে। ওই হাসপাতালে কর্মরত ক্লিনার আকাশ নামে এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটান। এরআগেও নৈশ্যপ্রহরী সেলিম এক রোগীকে যৌন হয়রানি করে। পরে ওই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেছে।
হয়রানির স্বীকার উপজেলার বদরপুর মোল্লাকান্দি গ্রামের ওই কিশোরী রোগী গত ২৭ আগস্ট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় শ্লীলতাহানির স্বীকার হন। সে বদরপুর আকবর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। আজ রোববার (২৯ আগষ্ট) সকালে ওই স্কুলছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচার চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোনাস তাকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। ঘটনার পর থেকে ক্লিনার আকাশকে হাসপাতালে না পেয়ে তার মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তার ফেনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
ওই স্কুলছাত্রীর বোন রত্না বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার বোন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তার তাকে ভর্তি করান। পরে আমার বোনকে ট্রলিতে করে দোতলায় ওয়ার্ডে নেওয়ার সময় সিড়িতে রেখে শ্রীলতাহানি করে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ডাক্তার বলেছে তাকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসতাম, তাই চলে আসছি।
এ ব্যপারে ডাঃ ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোনাস বলেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার অনুমতি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেননি। আপনারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুশরাত জাহান মিথেন এর সাথে কথা বলার জন্য তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।