শনিবার বিকেলে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের আবু তাহের মারা যাওয়ার পর তার ছোট ভাই আলিমদ্দিন কর্তৃক জাল দলিলে লিখে নেওয়া কিছু জমি নিয়ে মৃত তাহেরের ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায় এবং তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে।
এরপর বেলা আড়াইটার দিকে নূর ইসলামের দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। এসময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে খবর পেয়ে বিকেল তিনটার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে বর্বরোচিত এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নূর ইসলামকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া নালিতাবাড়ী থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করি এবং অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আপন চাচা আলিমদ্দিনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নূর ইসলামকে (৩৫) ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
Leave a Reply