গল্প ও প্রবন্ধ বিভাগে এবছর ” বেগম রোকেয়া সাহিত্য সম্মাননা ২০২২ জরিপে সমাদৃত হয়েছেন মেহেদী হাসান। তিনি জানিয়েছেন – বেগম রোকেয়া সাহিত্য সম্মাননা পাবো কখনো স্বপ্নে ও চিন্তা করিনি।এই সম্মাননা পদক আমাকে আবেগ আপ্লুত করেছে।আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।মেহেদী হাসানের শৈশব,কৈশোর ও বেড়ে ওঠা গ্রামে।তিনি লেখালেখি করেন ছোট বেলা থেকেই।স্কুলে পড়াশোনা করেছেন ” গুলেস্তা হাফিজ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট ” থেকে।সেখান থেকেই স্কুলের বিভিন্ন ম্যাগাজিনে কবিতা, ছোট গল্প লেখালেখিতে হাতে খড়ি। বর্তমানে তিনি মাস্টার্স পড়াশোনা করছেন।পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটি তে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ।তাছাড়াও তিনি ২০১৬ থেকেই একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।বেগম রোকেয়া সাহিত্য সম্মাননা পাওয়ার পর মেহেদী হাসানের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ” আমি কোনো পুরষ্কারের কথা চিন্তা করে লেখালেখি করিনি,তবে আমার লেখালেখি তে যদি সম্মাননা,স্বীকৃতি দেওয়া হয় কিংবা প্রশংসা করে তাহলে কাজের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ব দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পড়াশোনা ও শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি লেখালেখি এবং মিডিয়া তে কাজ করছেন সমান গতিতে। মেহেদী হাসানের বিভিন্ন গল্প,কবিতা,ছোট গল্প, প্রবন্ধ,ফিচার, কলাম প্রকাশিত হয়েছে দেশের স্বনামধন্য পএিকা গুলো তে। তিনি বেশ কিছু সাহিত্য ম্যাগাজিনে ও লেখালেখি করছেন। এবছরের বইমেলায় তার প্রথম কবিতার বই ” পরিসমাপ্তি ” প্রকাশিত হয়েছে। সময় টিভির এক ইন্টারভিউ তে তিনি জানিয়েছেন আগামী বছর বইমেলায় নতুন বই লেখার জন্য আগ্রহ রয়েছে।
এ বছর বাংলার উদীয়মান কবি পুরষ্কার ২০২২ তে জায়গা করে নিয়েছেন এবং সেই সাথে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সকলের।সারা বাংলাদেশে ২০২০ সালে USAID’S পরিচালিত ” The SVEO film’s 2020″ প্রতিযোগিতায় ৪৫ হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়্যান হয়েছেন।এছাড়াও ” বাংলা ছোট গল্প প্রতিযোগিতা ২০২২ ” তে সেরা গল্পকার হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।লেখালেখির পাশাপাশি মিডিয়া তে মডেলিং করছেন পুরোদস্তুর। যদিও পড়াশোনার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছেন।কিন্তু গ্রামীন জীবন, প্রাকৃতিক পরিবেশে তিনি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বেশি।মেহেদী হাসানের কাছে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
” আমি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার ও গ্রাম থেকে ওঠে এসেছি,বার বার ধাক্কা খেয়েছি,অনেক ঝড় বৃষ্টি রোদ মাথা নিয়ে স্টাগল করে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি।জীবনে ভুল করেছি,ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়েছি।একা একা এত দূর স্টাগল করে এসেছি।পাছে লোকে কিছু বলে এমন টাইপ সমালোচনা কে কখন কানে তুলিনি,পাওা দেই নি।আমার পড়াশোনা, কাজ নিয়ে সবরকম নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি। যারা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেছে তারা সব সময় আমার পেছনেই ছিলো, পেছনেই পড়ে আছে। আমি বিশ্বাস করি যারা স্টাগল করে,কঠোর পরিশ্রম করে তারা এক সময় অবশ্যই সফল হয়।
Leave a Reply